বাংলাদেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কঠোর আইন রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০। তবে বর্তমানে অনেক পুরুষ মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা ও যৌতুকের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো—এই ধরনের পরিস্থিতিতে একজন পুরুষ কীভাবে নিজেকে আইনি পথে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলার বাস্তবতা
বর্তমানে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, সম্পর্কের অবনতি বা প্রতিশোধমূলক মানসিকতা থেকে অনেক সময় স্ত্রী পক্ষ থেকে মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায়:
- হঠাৎ গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা থাকে
- কোর্ট থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়
- জামিন পাওয়া কঠিন হতে পারে
- পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও হয়রানির শিকার হন
এই অবস্থায় পুরুষের করণীয়
১. অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন
যেকোনো ধরনের আইনি অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট জারির আশঙ্কা থাকলে দ্রুত একজন ডিভোর্স ও পারিবারিক মামলায় অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
২. ডিভোর্স বিবেচনা করুন (যদি বনিবনা সম্ভব না হয়)
দাম্পত্য সম্পর্ক যদি আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব না হয়, তবে মিথ্যা মামলা এড়াতে ডিভোর্স আইন অনুযায়ী বৈধভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করাই হতে পারে নিরাপদ পথ।
৩. আইনি নথি ও প্রমাণ সংগ্রহ করুন
মেসেজ, কল রেকর্ড, চিঠিপত্র বা যেকোনো ধরনের প্রমাণ সংরক্ষণ করুন যা আপনার নির্দোষিতা প্রমাণে সহায়ক হতে পারে।
৪. জামিন ও মামলা বাতিলের উদ্যোগ নিন
ওয়ারেন্ট জারি হলে জামিন নিতে হবে দ্রুত এবং মামলা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় তবে হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করা যেতে পারে।
আইন ও ন্যায়বিচার সবার জন্য
আইন নারী সুরক্ষায় ব্যবহৃত হওয়া উচিত, অপব্যবহারের জন্য নয়। একজন পুরুষ মিথ্যা মামলার শিকার হলে, তারও রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার। এজন্য সময়মতো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
🔍 প্রয়োজন আইনি সহায়তা?
আমরা মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা, যৌতুক মামলা এবং ডিভোর্স আইন সংক্রান্ত বিষয়ে পেশাদার আইনি সেবা প্রদান করি। অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা পরিচালনা, জামিন ও আইনি পরামর্শ পেতে আজই যোগাযোগ করুন।
📞 হেল্পলাইন: +৮৮(০)১৭১৭৫৫৪৭৫৯